amishapara school
 
Previous
Next

Our Institute History

তৎকালিন ভুলুয়া জমিদারীর শাসন আমলে এ অঞ্চলের মুসলমান ও হিন্দুদের উদ্দ্যেগে অএ এলাকার কৃষকদের সংগঠিত করে, কৃষকদের দানকৃত মুষ্টি চাউল ,ধান,পাট, বাঁশ ,বেত ও ছন দিয়ে তৈরি হয় বিদ্যালয় ভবনটি। তৎপূর্বে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৩৭ সালে জনাব আবদুর রহমান মৌলভী সাহেবের ছনের ছাউনীকৃত দোকান ঘরে। বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত ছিলেন নীতি লাল চ্যটার্জী , পিতা: জামেনী কান্ত চ্যটার্জী । তাছাড়া যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থ ও জমিদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে তারা হলেন।
 
১. জামেনী কান্ত চ্যটার্জী, ২. আব্দুর রহমান মৌলভী, ৩. ফজলুর রহমান এম এ, ৪. আজিজ উল্যা মিয়া, ৫. ইছহাকমুন্সী. ৬. হাবিব উল্যা সওদাগর ,৭.শান্তি লাল চ্যটার্জী, ৮. আবদুর রহমান পাটাওয়ারী ।উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের সর্বসম্মতি ক্রমে বিদ্যালয়ের নাম করণ করা হয় আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম স্বীকৃতি লাভ করে এবং ঐ বৎসর এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সকল পরীক্ষার্থী উর্ত্তীন হয়।

 

সম্মানিত অভিভাবক / অভিভাবিকা, আপনাদের সকলের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা।ঐতিহ্যবাহী আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৩৯ সাল থেকে এই জনপদে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার আলো বিস্তার করে যাচ্ছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে এ প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকণ্যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার মোতাবেক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে লেখাপড়ায় উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানটি  ম্যানেজিং কমিটির সুনিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং দক্ষ প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে এক ঝাঁক মেধাবী ও ক্ষ্যাতিমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সম্মানিত অভিভাবক-অভিভাবিকা, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও অত্র বিদ্যালয়ের শুভানুধ্যায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা আমি একান্ত ভাবে কামনা করছি। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইট চালু হওয়ায় প্রধান শিক্ষক সহ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

মো: শাহ আলম
সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটি 
আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয়,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা এর অধিভুক্ত আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০ নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত । বিদ্যালয়টি ২ জানুয়ারি ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমি মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন অত্র বিদ্যালয়ে বিগত ২০/০৭/২০১৯ তারিখে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পর থেকে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষা উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক ,সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদেক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অর্জনের মাধ্যমে ভূয়িসী প্রশংসা লাভ করেছে। অএ বিদ্যালয়টি ২০২২ সালে উপজেলার শেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যদা লাভ করে। তাছাড়া ‍উপজেলা ,জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ,খেলাধুলা ও সাংস্কতিক প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করে আসছে। বিদ্যালয়টি অচিরেই ডিজিটাল বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হওয়ার প্রয়াস ব্যক্ত করছি। ম্যানেজিং কমিটির সম্মানীয় সভাপতি জনাব মো: শাহ আলম সাহেবের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যালয়টির নিজস্ব ওয়েব সাইট www.akhs.edu.bd চালু করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমাদের অনলাইন সেবা গ্রহণের জন্য ওয়েব সাইট ঘুরে দেখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি এ বিদ্যলয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য ধরে রাখার জন্য শিক্ষক ,কর্মচারী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন
বি এস-সি (গনিত), বি, এড (১ম শ্রেনী) এম, এ (ইংরেজি)
প্রধান শিক্ষক, আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়

০১। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক/ড্রেস ব্যতীত কাউকে ক্লাস করতে দেয়া হবেনা। এ বিষয়ের জন্য কোন অজুহাত চলবেনা। ছাত্রদের
নির্ধারিত পোশাক:- সাদা হাফ শার্ট, সাদা ফুল প্যান্ট, ব্যাজ (বুকে/ডান হাতে), এবং সাদা ক্যাটস। ছাত্রীদের নির্ধারিত পোশাক:- সাদা সেলোয়ার, সবুজ রঙ্গের জামা, সাদা ক্রসবেল্ট, সাদা স্কার্প এবং ব্যাজ (বাম হাতে)। যারা বোরকা পরতে ইচ্ছুক তারা সাদা এপ্রোন ও সাদা স্কার্প পরবে।
০২। প্রতিদিন শ্রেণিতে যা পড়ানো হবে এবং বাড়ীর কাজ যা দেয়া হবে তা পরিপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট দিনেই শেষ করতে হবে। কখনো আজকের কাজ
আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখবে না।
০৩। শ্রেণি কক্ষের যে কোন সমস্যা বিনয়ের সহিত শ্রেণি শিক্ষককে জানাবে ও শ্রেণি শিক্ষক অতিগুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখবেনএবং
সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
০৪। বিদ্যালয় চলাকালীন কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হলে কিংবা পরিবারের কারো অসুস্থ/দুঃসংবাদে ছুটি নিতে চাইলে দরখাস্ত ও অভিভাবকের
মতামত নিয়ে ছুটি নিবে এবং ছুটি রেজিস্টারে নোট করে নিবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবে।
০৫। সকাল ১০.০০ টা হতে বিকাল ৪.০০ ঘটিকার মধ্যে শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য মিলে একটি টীম বাজার ও বিদ্যালয়ের আশপাশ
পরিদর্শনে যাবেন। কোন ছাত্র/ছাত্রীকে কোথাও অযথা ঘুরাঘুরি করতে দেখলে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬। মধ্যবর্তী বিরতির সময় শিক্ষার্থীর টিফিনের জন্য বাইরে যাওয়ার সময় স্কুল ব্যাগ নিয়ে যেতে পারবে না।
০৭। বিদ্যালয়ের প্রতিটি সম্পদ তোমাদের সম্পদ। কাজেই বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টেবিল, ফ্যান, বাতি ও পানির কল ইত্যাদি সম্পদ প্রয়োজন
অনুযায়ী ব্যবহার করবে। বাথরুম ব্যবহারের সময় পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করবে। বাথরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে। শ্রেণি কক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবে। এ বিষয়ে শ্রেণি শিক্ষকের পরামর্শ নিবে।
০৮। বিদ্যালয়ের দেওয়াল, বেঞ্চ, টেবিল কোথাও কোন কিছু লিখা/নষ্ট করা যাবে না। কাউকে এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া
গেলে তাঁর অভিভাবকসহ প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাত করে সমাধান করতে হবে।
০৯। বিদ্যালয়ে দুইটি অভিযোগ বাক্স রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে নাম, শাখা ও রোল উল্লেখ পূর্বক
অভিযোগ দাখিল করবে। অভিযোগকারীর নাম গোপন রেখে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
১০। ক্লাস চলাকালীন সময়ে টিফিন করা নিষিদ্ধ। যদি কারো আশে-পাশে খালি প্লাস্টিক প্যাকেট, আবর্জনা, খাবারের অবশিষ্টাংশ বা অন্য কোন বর্জ্য
পাওয়া যায়। তাহলে তাকে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষের ডাস্টবিন ব্যবহার করবে। এ বিষয়ে কোনো ওজর-আপত্তি করা চলবে না।
১১। বিভিন্ন সূত্রে জনা গেছে যে কতিপয় ছাত্র ২/৩ ঘন্টা করার পর বাজারে গিয়ে স্কুল ড্রেস পরিবর্তন করে ভিন্ন পোশাক পরিধান করে থাকে।
ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ধরনের কোনো ছাত্রকে বাজারে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২। কোন ছাত্র/ছাত্রী ০১ দিনের বেশি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকসহ প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাত করে ক্লাস করার অনুমতি নিতে হবে।
১৩। ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী গ্রুপিয়াল ক্লাস করার সময় সারিবদ্ধভাবে বিভাগীয় ক্লাসে প্রবেশ করবে এবং হাঁটার সময় পায়ের আওয়াজ
যেন না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবে। মনে রাখবে বিদ্যালয়ে প্রতিটি নিয়ম তোমার জীবনের কাঙ্খিত পরিবর্তন ঘটাবে।
১৪। বিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র বিভিন্ন ডিজাইনে চুল রাখে যা বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় সকল ছাত্র সর্বোচ্চ আধা ইঞ্চি চুল
রেখে স্কয়ার বা রাউন্ড কাটিং করতে হবে। এই আদেশ জারির পর কাউকে ভিন্নভাবে দেখা গেলে বিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে শ্রেণি কক্ষে কতিপয় ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল ব্যাগ থেকে টাকা হারানো যাচ্ছে যা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও অনৈতিক কাজ। কাজেই
শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা সব সময় নিজের সঙ্গে রাখবে। সতর্ক করার পর ও কারো টাকা হারালে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেনা।
১৬। কোভিড-১৯ মহামারীতে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবে।

স্কুলের সময়সূচী :

রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার  

সকাল ১০.০০ টা  হইতে বিকাল  ৪.০০ টা পর্যন্ত।